ডেস্ক নিউজ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার প্রক্সি, ডিজিটাল জালিয়াতিসহ অবৈধভাবে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অনুসন্ধান ও তদন্ত করে তাদের খুঁজে বের করা হবে। এব্যাপারে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রমাণ পেলে অবৈধভাবে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলসহ জেল জরিমানাও করা হতে পারে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ইতিমধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ কাজ করছে। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।
ইতিমধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত একটি চক্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ অন্তত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। এদের মধ্যে ১৩ জন প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তির হওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন মহিউদ্দিন রানা, আবদুল্লাহ আল মামুন, ফারজাদ সোবহান নাফী, আনিন চৌধুরী, নাভিদ আনজুম তনয়, এনামুল হক আকাশ, নাহিদ ইফতেখার, রিফাত হোসেন, বায়জিদ, ফারদিন আহম্মেদ সাব্বির, তানভীর আহেম মল্লীক, প্রসেনজিৎ দাস ও আজিজুল হক। এর মধ্যে নাফী, আনিন ও এনামুল ছাড়া সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ঢাবির শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কারসহ জেল জরিমানা করা হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে ঢাবি ভিসি প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, যারা ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া যারা ঢাবিতে ভর্তি জালিয়াতির মাধ্যমে চান্স পেয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও একাডেমিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের অনুসন্ধানের মাধ্যমে খুঁজে বের করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।